আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়ার মরদেহ বহনকারী বিমান কাতারে পৌঁছেছে। দোহার বৃহত্তম ইমাম মুহাম্মদ বিন আবদুল ওয়াহহাব মসজিদে জানাজার নামাজের পরে, লুসাইল এলাকায় সমাহিত হবেন হামাসের এই নেতা।
কাতারে হানিয়ার জানাজায় স্থানীয়রা ছাড়াও বিভিন্ন ইসলামিক গোষ্ঠীর নেতাদের অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। একদিন আগে, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ইমামতিতে, ইসমাইল হানিয়ার জানাজা সম্পন্ন হয় তেহরানে।
হামাস নেতার জানাজা ও শেষ বিদায়কে কেন্দ্র করে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ঢল নামে লাখো মানুষের। জানাজা শেষে মরদেহ আজাদি স্কয়ারে নিয়ে গেলে হানিয়ার কফিনের সঙ্গী হন দেশটির হাজার হাজার মানুষ। এদিকে, হামাস নেতা হানিয়ার স্মরণে শুক্রবার জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানানোর পাশাপাশি গাজায় চলমান ইসরাইলি বর্বরতার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আঙ্কারা।
একইভাবে পাকিস্তানও এক দিনের শোক ঘোষণা করেছে। শুধু তাই নয়, হানিয়া হত্যাকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ একে আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, তেহরানে হামলায় নিহত হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার মরদেহ বহনকারী বিমান কাতারে পৌঁছেছে। শুক্রবার (২ আগস্ট) দেশটির রাজধানী দোহায় তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে লুসাইল এলাকায় চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন হামাসের প্রভাবশালী এই নেতা।