শেখ মোহাম্মদ আলী, শরণখোলা অফিস:
সাগরে মাছ সংকটে বিপাকে পড়েছেন দুবলারচরের শুঁটকি জেলেরা। গত ১৫দিন ধরে সাগরে জাল ফেলে তেমন কোন মাছ পাচ্ছেননা তারা। মাছ না পেয়ে জেলে মহাজনরা ব্যপক আর্থিক ক্ষতির সম্মূখীন হয়েছেন। সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ঠ ঘূর্ণীঝড় “ফিনজালের” কারণে এরুপ
পরিস্থিতি হতে পারে জেলেদের ধারনা। দুবলার আলোরকোলের রামপাল জেলে সমিতির সভাপতি মোতাসিম ফরাজী বলেন, গত ১৫দিন যাবৎ সাগরে জাল ফেলে কোন মাছ পাওয়া যাচ্ছেনা। মাছ না পেয়ে জেলেরা আর্থিক ক্ষতির সম্মূখীন হয়েছেন। ২/৩ ঘন্টা ট্রলার চালিয়ে সাগরের গভীরে গিয়েও জাল ফেলে মাছ পাওয়া যায়না । ট্রলারের তেল খরচের টাকাও উঠছেনা। গত ২৫/৩০ বছরের মধ্যে দুবলার শুঁটকি জেলেরা এমন মাছ সংকটে পড়েনি বলে তিনি জানান। সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ঠ ঘূর্ণীঝড় “ফিনজালের” কারণে এরুপ পরিস্থিতি হতে পারে বলে জেলেদের ধারনা বলে রামপাল জেলে সমিতির সভাপতি মোতাসিম ফরাজী বলেন। আলোরকোলের জেলে খুলনার পংকজ নাথ বলেন, সাগরের যে অবস্থা তাতে এবার তাদের লোকসান দিয়ে মহাজনের দেনা মাথায় নিয়ে বাড়ী ফিরতে হবে। শেলারচরের শুঁটকি জেলে মোঃ সোলায়মান বলেন, ৪০/৫০ বছর যাবৎ সাগরে মাছ ধরে তিনি শেলারচরে মাছ শুঁটকি করেন। কিন্তু এবারের মতো মাছ সংকট তিনি কখনো দেখেননি বলে মন্তব্য করেন।
দুবলা ফিসারমেন গ্রæপের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, গত গোণে (মাছ ধরার সময়) দুবলার শুঁটকি জেলেরা
সাগরে কোন মাছ পায়নি। ফলে জেলে ও মহাজনরা বিপুল অংকের আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। বর্তমানে চরে মাছ শুঁকানোর খোলা ও মাচা মাছের অভাবে খা খা করছে। জেলে পল্লী দুবলা ফরেষ্ট টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেষ্ট রেঞ্জার মোঃ খলিলুর রহমান ও শেলারচর ফরেষ্ট টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেষ্টার দিলীপ মজুমদার বলেন, শুঁটকি জেলেরা সাগরে মাছ না পাওয়ায় তাদের রাজস্ব ঘাটতির আশংকা রয়েছে। ময়মনসিংহ মৎস্য গবেষণা ইনষ্টিটিউটের সাবেক মৎস্য গবেষক ড.আনিসুর রহমান বলেন, সাগরে জলবায়ু তারতম্যের কারণে
সাময়িকভাবে মাছ ধরা নাও পড়তে পারে। আরো কিছুদিন না দেখে সঠিক মন্তব্য করা যাবেনা।