শেখ মোহাম্মদ আলী,শরণখোলা অফিস:
বঙ্গোপসাগর তীরে দুবলারচরের আলোরকোলে সনাতন ধর্মাবল্মীদের এবারের রাস উৎসব শুরু হবে আগামী ১৪ নভেম্বর।
১৬ নভেম্বর প্রত্যুষে পূণ্যার্থীদের সমুদ্র স্নানের মধ্যে দিয়ে তিন দিনের রাস উৎসব শেষ হবে বলে জানা গেছে। দুবলা রাস উৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি ও দুবলা ফিসারমেন গ্রুপের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ কামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, বঙ্গোপসাগর তীরে শতবর্ষ ধরে চলে আসা সনাতন ধর্মাবল্মীদের এ বছরের রাস উৎসব আগামী ১৪ নভেম্বর দুবলারচরের আলোরকোলে শুরু হবে।
তিন দিন ধরে চলা রাস উৎসব ১৬ নভেম্বর প্রত্যুষে সাগরের প্রথম জোয়ারে লোনাজলে পূণ্যার্থীদের সমুদ্র স্নানের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে। উৎসব উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবল্মীদের পুজা অর্চনার জন্য আলোরকোলে অস্থায়ীভাবে মন্দির নির্মাণ করে সেখানে রাধাকৃষ্ণের প্রতিমা স্থাপন করা হবে।
রাস উৎসব উপলক্ষে চট্রগ্রাম, ঢাকা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, সাতক্ষীরা, খুলনাসহ দেশ বিদেশের কয়েক হাজার সনাতন ধর্মের পূণ্যার্থী দুবলার আলোরকোলে সমবেত হবেন।
বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়,আলোরকোলে রাস উৎসব নির্বিঘ্নে সফল করার লক্ষ্যে গত ১৭ অক্টোবর সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগ খুলনার বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে আন্তঃবিভাগীয় এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বন বিভাগের খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো।
সভায় দুবলারচরে যাওয়ার জন্য সুন্দরবনের মধ্যে দিয়ে নির্ধারিত ৫টি রুট নির্ধারণ করে দেওয়াসহ পূণ্যার্থীদের বনবিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করীম বলেন, দুবলারচরের রাস উৎসবে সনাতন ধর্মের লোকজন ছাড়া অন্য কাউকে যাওয়ার অনুমতিপত্র দেওয়া হবেনা।
১৪ অক্টোবর সকাল থেকে রাস উৎসবে যোগ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ষ্টেশন অফিস থেকে পূণ্যার্থীদের অনুমতিপত্র (পাস) দেওয়া হবে। রাস উৎসবে আসা যাওয়ার সময় কেউ যাতে সুন্দরবনে অবৈধভাবে হরিণসহ বণ্যপ্রাণী শিকার করতে না পারে সে জন্য বনরক্ষীরা নিয়মিত টহল কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে ডিএফও জানিয়েছেন।