শেখ মোহাম্মদ আলী, শরণখোলা অফিস:
দেড় লক্ষাধিক জনসংখ্যা অধ্যুষিত শরণখোলা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে চিকিৎসা চলছে মাত্র দুইজন ডাক্তার দিয়ে । চিকিৎসক সংকটে হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটিতে ২১টি চিকিৎসকের পদ শূণ্য রয়েছে।
শরণখোলা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ৫০ শয্যা বেডের এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২১ টি চিকিৎসকের বিপরীতে চারজন চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা সেবার কাজ চলে আসছিলো। সম্প্রতি দুইজন চিকিৎসককে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও খুলনা কোভিড হাসপাতালে সংযুক্তিতে পাঠানো হয়েছে।
শরণখোলা হাসপাতালের বহিবির্ভাগে প্রতিদিন ২/৩ শ রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। ৫০ বেডের এ হাসপাতালে প্রত্যহ ভর্তি থাকেন ৮০/৯০ জন রোগী। জরুরী বিভাগেও প্রতিনিয়ত অসংখ্য রোগী আসেন। দুইজন চিকিৎসকের পক্ষে এতো সব রোগীদের সেবা দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। অনেক রোগী বাধ্য হয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি হচ্ছেন।
শনিবার সকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, অনেকক্ষণ সিরিয়ালে দাড়িয়ে থেকে চিকিৎসককে দেখাতে না পেরে কয়েকজন রোগী ফিরে যাচ্ছেন।
চিকিৎসা নিতে আসা রাজাপুর গ্রামের হোসনেয়ারা বেগম, খোন্তাকাটা গ্রামের সাইদুর রহমানসহ কয়েকজন রোগী বলেন, হাসপাতালে ডাক্তার কম থাকায় রোগ দেখাতে না পেরে ফিরে যাচ্ছি।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আশফাক হোসেন বলেন, হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে প্রশাসনিক কাজসহ বিভিন্ন দপ্তরে মিটিংয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। আমাদের দুইজন
ডাক্তারকে হাসপাতালের আউটডোর ও ইনডোরে ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। রোগীর চাপে সময় মতো তাদের খাওয়া দাওয়া ও ঘুম হচ্ছেনা বলে ডাঃ আশফাক জানালেন।
শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রিয় গোপাল বিশ^াস বলেন,চিকিৎসকের অভাবে রোগীদের কাংখিত সেবা দেওয়া যাচ্ছেনা। চারজন চিকিৎসকের দুইজন চিকিৎসককে খুলনা মেডিকেল কলেজে সংযুক্তি করায় চিকিৎসক সংকট দেখা দিয়েছে। তা ছাড়া এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিভিন্ন ধরনের ২১টি চিকিৎসকের পদ শূণ্য রয়েছে। হাসপাতালে নতুন করে জরুরী ভিত্তিতে কমপক্ষে ৩/৪ জন চিকিৎসক নিয়োগ করা প্রয়োজন। চিকিৎসক সংকটের তথ্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন।