শেখ মোহাম্মদ আলী, শরণখোলা অফিস:
পূর্ব সুন্দরবনের নাংলী টহল ফাঁড়ির নিশানবাড়ীয়া খালে অবৈধভাবে
মাছধরা নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে
ধানসাগর ফরেষ্ট ষ্টেশনের নাংলী টহল ফাঁড়ির আঙ্গিনায় এ ঘটনা ঘটে।
শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন উপজেলার উত্তর
রাজাপুর গ্রামের আবুল হোসেন হাওলাদারের পুত্র আজিম ও দক্ষিণ রাজাপুর
গ্রামের মজিবর রহমান কাজীর পুত্র তুহিন কাজী সাংবাদিকদের কাছে
অভিযোগ করে বলেন, ধানসাগর ষ্টেশনের নাংলী টহল ফাঁড়ির অভয়ারণ্যে
মাছধরা নিষিদ্ধ নিশানবাড়ীয়া খালে উত্তর রাজাপুর গ্রামের আলী
হোসেন ও ধলু বয়াতীসহ তাদের সঙ্গীয় লোকজন বনরক্ষীদের ম্যানেজ করে
দীর্ঘদিন ধরে জাল পেতে মাছ ধরে আসছে।বিষয়টি নাংলী ফাঁড়ির
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান কে জানালে তিনি নিশানবাড়ীয়া খাল
থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে উক্ত জাল উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। এতে ক্ষিপ্ত
হয়ে আলী হোসেন,ধলু বয়াতীসহ তাদের আরো লোকজন বনরক্ষীদের সামনে
আমাদের উপর দা লাঠি ও হাতুড়ী নিয়ে হামলা করে বেদম মারধর করে । আমরা
জীবন বাঁচাতে পাশের খালে ঝাপিয়ে পড়ি। গ্রামবাসী আমাদের উদ্ধার
করে সন্ধ্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। হামলাকারীদের
মারধরে গুরুতর আহত তুহিন কাজী(৩৫), আজিম(২৫), নান্না আকন (৫৮),
হুমায়ূন(৪২) ও শহীদুল (৩২) কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শরণখোলা থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহীদুল্লাহ বলেন, নাংলী
এলাকায় মারামারির খবর তিনি লোক মুখে শুনেছেন। কেউ লিখিত
অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা ( এসিএফ) রানা দেব
বলেন,বিষয়টি তার জানা নেই খোজঁ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন
বলে তিনি জানান।
ছবির ক্যাপশন ঃ শরণখোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আজিম।