শেখ মোহাম্মদ আলী, শরণখোলা অফিস:
শরণখোলার উত্তর কদমতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠটি নিচু হওয়ার কারনে বর্ষা মৌসুমে হাটু পানিতে ডুবে থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। কোমলমতি শিশুরা এ মাঠে খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মাঠে পানি থাকায় জায়গার অভাবে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে সমাবেশ করতে পারছে না। স্কুল গেট থেকে ঢোকার জন্য নেই কোনো রাস্তা।
এ স্কুলটি একটি নির্বাচনি কেন্দ্র। তাছাড়া স্কুল এলাকায় কেউ মারা গেলে এ মাঠেই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। যে কারনে স্কুল মাঠটি জরুরী ভিত্তিতে ভরাট হওয়া প্রয়োজন। কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি না থাকায় মাঠটি ভরাট হচ্ছে না বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। পাশাপাশি স্কুলের ওয়াশ ব্লকের কাজ দীর্ঘদিন ধরে থেমে আছে। কাজটি দ্রুত সম্পন্ন না হলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হবে। বিভিন্ন সমস্যার কারনে বিঘ্নিত হচ্ছে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ।
উপজেলা সদর রায়েন্দা ও তাফালবাড়ী আঞ্চলিক সড়কের পাশে ১৯২৮ সালে স্থাপিত এ বিদ্যালয়টিতে প্রায় দুইশত শিক্ষার্থী রয়েছে। নতুন করে ভবন নির্মান হলেও স্কুলমাঠটির কোথাও তিনফুট, কোথাও ৫/৬ ফুট স্কুল ভবনের চেয়ে নিচু রয়েছে। যে কারনে বর্ষা মৌসুমে মাঠটি পানিতে ডুবে থাকে। কোমলমতি শিশুরা এ মাঠে খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মাঠে পানি থাকায় জায়গার অভাবে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে সমাবেশ করতে পারছে না। স্কুল গেট থেকে ঢোকার জন্য নেই কোনো রাস্তা। মাঠ ভরাট হলে রাস্তা করা সহজ হবে এবং অন্যান্য সমস্যাগুলো সমাধান করা সহজ হবে।
দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর থেকে এ স্কুলটি নির্বাচনী কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। স্কুল এলাকায় কেউ মারা গেলে এ মাঠেই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে মাঠটি পানিতে ডুবে থাকায় রাস্তায় কোনো ভাবে জানাজা নামাজ আদায় করতে হয়। ওয়াশ ব্লকের কাজ প্রায় ১ বছর পূর্বে শুরু করলেও আংশিক কাজ করে থেমে যায়। দ্বিতল ভবন বিশিষ্ট ওয়াশ ব্লকের কাজ দ্রুত না করা হলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হবে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আবদুর রহমান ও শিক্ষক নেতা মিজানুর রহমান বলেন, প্রায় এক বছর পূর্বে মাঠ ভরাটের জন্য উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তর থেকে সার্ভে করেছে। এ সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র শিক্ষা অফিসে জমা দেয়া হয়েছে। স্কুলের মাঠটি ভরাট না হওয়ায় নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। জরুরী ভিত্তিতে মাঠটি ভরাট করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী এসএম মেহেদী হাসান বলেন, ওয়াশ ব্লকের কাজ না করে অনেকদিন ধরে ফেলে রাখা হয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদারকে নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য দুই বার চিঠিও দেয়া হয়েছে। আগামী ২৫ মার্চের মধ্যে নির্মান কাজ শেষ করে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাঃ আশরাফুল ইসলাম বলেন, মাঠ ভরাটের জন্য পর্যায়ক্রমে অনেকগুলো স্কুলের সার্ভে করে বাজেট সহ অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এ পর্যন্ত কোনো স্কুলের মাঠ ভরাটের কাজ হয়নি। সেখান থেকে অনুমোদন হলে টেন্ডারের মাধ্যমে ভরাটের কাজ করা হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী ফেরদৌস আলম বলেন, সিএন্ডবি রাস্তা থেকে স্কুলের মাঠটি অনেকটা নিচু হওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা ৮টি স্কুলের সার্ভে করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। যা আগামী ৬ মাসের মধ্যে শুরু হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এ তালিকার মধ্যে না থাকলে স্কুল থেকে শিক্ষা অফিসারের কাছে আবেদন করলে আমাদের কাছে পাঠালে আমরা সার্ভে করে আিধদপ্তরে পাঠাবো।