নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলার জ্যোতিতে আগুন লাগার পর নাশকতার কথা মাথায় রেখেই তদন্তকারীরা অগ্রসর হচ্ছিলেন। সেই সঙ্গে ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে বাংলার সৌরভে ফায়ার ড্রিল করা হয়।
চট্টগ্রাম বন্দরে পাঁচ দিনের ব্যবধানে তেলবাহী দুই জাহাজে আগুনের ঘটনাকে সম্ভাব্য নাশকতা হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি)।
গতরাতে 'বাংলার সৌরভ'-এ আগুন লাগার পর আজ সকালে চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএসসি ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মাহমুদুল মালেক। তিনি বলেন, দেশের জ্বালানি নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলতে এই নাশকতা চালানো হয়েছে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন বহির্নোঙরের বড় জাহাজ থেকে তেল খালাসের কাজে 'বাংলার জ্যোতি' ও 'বাংলার সৌরভ'-কে ব্যবহার করে। গতরাত ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে বহির্নোঙরে অবস্থান করা বাংলার সৌরভে আগুন লাগে। জাহাজটি আজ সকালে তেল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়বার কথা ছিল। আগুনের ঘটনায় জাহাজ থেকে সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়া একজন মারা গেছেন। এর বাইরে ৪৭ ক্রু ও কর্মীকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী।
এর আগে গত সোমবার সকালে চট্টগ্রাম বন্দরে বাংলার জ্যোতিতে বিস্ফোরণের পর আগুন লাগে। ওই ঘটনায় তিনজন নিহত হন।
আজ সংবাদ সম্মেলনে বিএসসি ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মাহমুদুল মালেক বলেন, বাংলার জ্যোতিতে আগুন লাগার পর নাশকতার কথা মাথায় রেখেই তদন্তকারীরা অগ্রসর হচ্ছিলেন। সেই সঙ্গে ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে বাংলার সৌরভে ফায়ার ড্রিল করা হয়। এই জাহাজটিতে কোনো মেরামতের কাজও চলছিল না।
তিনি জানান, গতরাতে হঠাৎ জাহাজের সামনের দিকে প্রায় একই সঙ্গে চারটি জায়গায় স্ফুলিঙ্গ দেখতে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন উদ্ধার হওয়া ক্রুরা। সেসময় জাহাজের কাছ থেকে একটি স্পিডবোট সরে যেতে দেখা যায় বলেও জানান তারা। দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার জন্য এই নাশকতা হতে পারে।