এম.পলাশ শরীফ, বিশেষ প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প: প: কর্মকর্তা ডা. শর্মী রায়ের বিরুদ্ধে নানাবিধ অনিয়ম, দুর্ণীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তার পদত্যাগ দাবি করে ঝাড়ু, মিছিল ও মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের সড়কে এলাকাবাসীর ব্যানারে এ মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেন ৩ শতাধীক নারী-পুরুষ। এ সময় জনতা ব্যানার, ফেষ্টুন, প্লেকার্ড ও হাতে ঝাড়– নিয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
মানববন্ধন থেকে অভযোগ তুলে বক্তারা বলেন, হাসপাতালের প.প. কর্মকর্তা ডা. শর্মী রায় রোগীদের সাথে দূর্ব্যহার, হাসপাতালের রুগীদের বহনকারী এম্বুলেন্সটি দীর্ঘ দিন ধরে অকেজ অবস্থায় ফেলে রেখে প্রাইভেট এম্বুলেন্সে রুগীদের পাঠাচ্ছেন চুক্তি ভিত্তিতে। হাসপাতালের সরকারি বরাদ্দকৃত ঔষধপত্র রুগীদের না দিয়ে স্টোরে মেয়াদ উর্ত্তীর্ন করে অপচয় করছেন সরকারের অর্থ। কোভিট-১৯ এর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তর থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত স্বেচ্ছা সেবকদের বরাদ্দকৃত আর্থিক সহয়তা তাদেরকে না দিয়ে নিজেই আত্মসাৎ করেছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নিকটে অফিসিয়াল কাগজপত্রে স্বাক্ষর করাতে হলে তাকে সেখানে দিতে হয় উৎকোচ। সরকারি নৌ-এম্বুলেন্সটি সংস্কারের জন্য বরাদ্দ হলেও সে খাতে তা ব্যায় না করে এম্বুলেন্সটি ফেলে রাখা হয়েছে নদীর চরে। এছাড়াও আউট সোর্সিং ৪ জন কর্মীতে বেতনের টাকা না দিয়ে মাসের পর মাস তাদের হয়রানী করছে ডা. শর্মী রায়। এ বিষয় তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের হলেও রহস্য জনক কারনে বহাল তরবিয়তে স্ব-পদে রায়েছেন তিনি। এসব নানাবিধ অনিয়মের কারনে মানববন্ধনে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী অবিলম্বে এ কর্মকতার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন। যতক্ষন পর্যন্ত এ কর্মকর্তা পদত্যাগ না করবেন, তাদের লাগাতার কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন, শাহ আলম শেখ, ইমরানুজ্জামান, আকছার শেখ, মনিরুজ্জামান শিল্পি, সেলিম খান, মোঃ রুহুল আমীন, সাইদুর রহমান, আসাদুজ্জামান প্রিন্স, মশিউর রহমান, শাকিব, রেশমা বেগম, মঞ্জু আক্তার ও ঝর্ণা রানীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প.প. কর্মকর্তা ডা. শর্মী রায় জানান, তিনি ৩ দিনের প্রশিক্ষণে রয়েছেন। তবে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কোভিট-১৯ এর সময় তিনি দ্বায়িত্বে ছিলেন না। পরবর্তীতে স্বেচ্ছা সেবকদের নামের তালিকা অনুযায়ী অর্থ সহয়তা দেয়া হয়েছে। সাবেক স্বাস্থ্য কর্মকর্তার হাসপাতালে মালামাল ক্রয়ের ভাউচার অনিয়মের তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় ষড়যন্ত্র করে লোক দিয়ে অপপ্রচার ও মানববন্ধন করানো হচ্ছে।