নিজস্ব প্রতিবেদক:
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেছেন, যারা দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করতে চায় তাদেরই কর্ম হচ্ছে আজকের এই স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে দেয়া। যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়া। দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়ে দেশকে পঙ্গু করা। এটাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য।
তিনি বলেন, আজকে আর বলতে অসুবিধা নেই, তারা (হামলাকারীরা) দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে এখন পর্যন্ত মেনে নিতে পারেনি, বিশ্বাস করে না। কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতা চলাকালীন হামলার শিকার বনানীর সেতুভবন ও মহাখালীতে দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা অধিদপ্তর সোমবার দুপুরে ১৪ দলের নেতারা পরিদর্শন করেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আমু বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক বিশ্বে একটি সমাদৃত দেশ ও জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, সেজন্য তাদের গাত্রদাহ। তাই আজকে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নানা কুৎসা রটনা ও ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
আন্দোলনকারীদের কাঁধে ভর দিয়ে ‘স্বাধীনতাবিরোধীরা’ সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে মন্তব্য করে, দুষ্কৃতকারীদের প্রতিহত করতে দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজ ভান্ডারিসহ ১৪ দলের নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
জুলাইয়ের প্রথমে শুরু হওয়া শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীদের সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন সহিংস রূপ নেয় এ মাসের মাঝামাঝি থেকে। সারা দেশে ব্যাপক সংঘাতের মধ্যে ১৮ জুলাই বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলা শুরু হয়।
রামপুরায় বিটিভি ভবন, বনানীতে সেতু ভবন, মহাখালীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
দুই দফা হামলা করে জ্বালিয়ে দেয়া হয় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মহাখালী ও বনানীর দুটি টোল প্লাজা। হামলা করে ভাঙচুর করা হয় মহাখালী টোল প্লাজা সংলগ্ন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কার্যালয়েও।