শেখ মোহাম্মদ আলী, শরণখোলা অফিস :
দীর্ঘ ৬৫ দিনের অবরোধ শেষে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়েছে ফিশিংবোট বহর। উত্তাল সাগরে টিকতে না পেরে শত শত ফিশিংবোট উপকূলে ফিরে আসছে।
শরণখোলা উপজেলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন বলেন, লঘুচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। সাগর উত্তাল হওয়ায় মাছ ধরতে না পেরে উপকূলের দিকে ছুটছে ফিশিংবোট। ৬৫ দিনের অবরোধ শেষে ২৩ জুলাই মধ্যরাতে তাদের ফিশিংবোটবহর সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে দুর্যোগের কবলে পড়েছে। কয়েকশ ফিশিংবোট মাছ ধরতে না পেরে মহিপুর, খেপুপাড়া, নিদ্রাসখিনা, পাথরঘাটাসহ উপকূলের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে ফলে জেলে ও ফিশিংবোট মালিকরা প্রচুর আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে আবুল হোসেন জানান।
শরণখোলা রাজৈর মৎস্যঘাটের আড়ৎদার কবীর হোসেন বলেন, সাগরে দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করায় অনেক ফিশিংবোট সাগরে না গিয়ে ঘাটে নোঙর করে আছে।
বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ অবরোধ শেষে জেলে মৎস্যজীবিরা ধার দেনা করে সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল সাগরে জাল ফেলতে না পেরে জেলেরা বোট নিয়ে উপকূলের ঘাটে ফিরে আসছে এবং অনেক বোট ঘাটে নোঙর করে আছে ফলে জেলে ও বোট মালিকদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। সাগরে মাছ শিকারের মওশুমে বার বার নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় জেলে মহাজনরা সর্বশান্ত হচ্ছে অনেকে পেশা বদলের চিন্তা ভাবনা করছে বলে মোস্তফা চৌধুরী বলেন।
বাংলাদেশ ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও শরণখোলার মৎস্য ব্যবসায়ী এম সাইফুল ইসলাম খোকন বলেন, দীর্ঘ ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় মাছ ধরতে না পেরে জেলেরা অর্থকষ্টে দিন পার করেছেন এবং হয়েছেন ঋণগ্রস্থ। অবরোধের পরে মাছ শিকারের আশায় বুক বেধে সাগরে গিয়ে ঝড়ো হাওয়ার কারণে জাল ফেলতে না পেরে আবার ফিরে আসছে। প্রতি বছর অবরোধ শেষে সাগরে গিয়েই আমাদের দেশীয় জেলেরা বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে। ভারতের সাথে মিল রেখে আমাদের দেশের সাগরে অবরোধ দিলে একদিকে জেলেরা ভালভাবে মাছ ধরতে পারতো অপর দিকে বর্তমানের মতো অবরোধ শেষে দুর্য়োগের কবলে পড়তো না। এ বিষয়ে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।