চিতলমারী সংবাদদাতা :
বাগেরহাটের চিতলমারীতে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর অভিযোগে অফিস সহায়ক (পিয়ন) শাওন ঢালীকে (২১) সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা ১২ টায় জরুরী সভা ডেকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি অপূর্ব চৌধুরী ও প্রধান শিক্ষক প্রভানন্দ বালা তাকে এ বহিস্কারাদেশ দেন। এ সময় ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেররা অভিযুক্তের কঠিন শাস্তি ও স্থায়ী বহিস্কারের দাবীতে স্কুল ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন। শাওন ঢালী চর বড়বাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক ও বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের বাসাবাড়ী গ্রামের শংকর ঢালীর ছেলে। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে।
চর বড়বাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী দিগন্ত মন্ডল, নুরুল ইসলাম, বাধন চৌধুরী, অভিবাবক মুকুল বৈরাগী, রিপন ব্যানার্জী, ভোলানাথ ব্যানার্জী, নিতাই হীরা ও মুকুল হীরাসহ অনেকে বলেন, ‘গত ১৬ জুলাই (মঙ্গলবার) দুপুরে অফিস সহায়ক শাওন ঢালী বিদ্যালয় ভবনের চতুর্থ তলায় ডেকে নিয়ে ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানী ঘটায়। এ সময় কয়েকজন ছাত্র ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে বিষয়টি প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের জানান। শাওন আগেও আরও একটি মেয়ের শ্লীলতাহানী ঘটিয়েছিল। তখনও তার কোন বিচার হয়নি। তাই আমরা লম্পট শাওন ঢালীর কঠিন শাস্তি ও স্থায়ী বহিস্কারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করছি।’
এ ব্যাপারে জানতে শাওন ঢালীর মুঠোফোনে বারবার রিং দিলেও তিনি তা রিভিস করেননি।
চর বড়বাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রভানন্দ বালা বলেন, ‘ঘটনাটি আমরা মঙ্গলবার বিকেলে জেনেছি। বুধবার স্কুল বন্ধ থাকায় বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার জরুরী বৈঠক ডাকা হয়।’
চর বড়বাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি অপূর্ব চৌধুরী বলেন, ‘জরুরী বৈঠক শেষে স্কুল ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর অভিযোগে আমরা শাওন ঢালীকে সাময়িক বহিস্কার করেছি। এ ঘটনায় ৩ সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির রিপোর্টের পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
চিতলমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোছা. কামরুন্নেছা বলেন, ‘বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। আমি খোঁজ নিয়ে জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আসমত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি এখনই খোঁজ নিচ্ছি।’