নিজস্ব প্রতিবেদক:
কোটা সংস্কারের আন্দোলন ঘিরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্ত সংঘাতে আহতদের মধ্যে ৫০ জনের মত ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে একটি শিশুসহ ছয়জন গুলিবিদ্ধ রয়েছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) আহত অন্যদের মধ্যে শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, পুলিশসহ বাড়িতে অবস্থান করা সাধারণ মানুষও রয়েছেন।
এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কয়েক দফায় এবং শনির আখড়া এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, সহিংসতায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আহত হয়ে বুধবার সকাল থেকে ৫০ জনের মত ঢাকা মেডিকেলে এসেছেন। তাদের মধ্যে একটি শিশুসহ ছয়জন গুলিবিদ্ধও রয়েছেন। এদের মধ্যে পাঁচজনকে ভর্তি করা হয়েছে। অনেকে জরুরি বিভাগেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় গেছেন।
হাসপাতালে ভর্তি ব্যক্তিরা হলেন-পথচারী কাওসার (২০), শিক্ষার্থী অলিউল্লাহ (২৭), আশরাফ আলম (৩২), তানজিল (২৭) ও গুলিবিদ্ধ ফয়সাল (২৮)।
সংঘাতের সময় পুলিশের আজিমপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) এস আই ইব্রাহীম খলিল আজিমপুর এলাকায় রিকশায় যাওয়ার পথে ইটের আঘাতে আহত হন।
লালবাগ থানার এসআই নাজমুজ্জামান বলেন, ইডেন কলেজের ১ নম্বর গেইট থেকে রিকশায় করে আজিমপুর ফাঁড়িতে যাচ্ছিলেন ইব্রাহীম। পথে নীলক্ষেত কোয়ার্টারের গেইটে আন্দোলনকারীরা তাকে ধাওয়া দিয়ে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এতে তিনি মাথায় আঘাত পান। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন- কাউছার (২০), অলিউল্লাহ (২৭), নাঈম (২৪), সাইদুল (২৬), ইকবাল (৫০), সোহাগ (২৮), লিমন (১৫), মিজান (২০), ফেরদৌস (৪০), কবিতা (৪৫), নাসরিন (৪৮), রহিমা (৫০), বিজয় (২৪), রিপন (৩৯), দীল আফরোজ (৩০), আব্দুল হাদি (২১), মো. মাসুদ (২১), শিক্ষার্থী তানজিল (২৭), জাকির(২২), জহিরুল (২৬), আসাদুজ্জামান (২৩), মেহেদী হাসান (২৫), জাওয়াদ (২০), মাসুদ (২৪), তানজিলা (২২), সিহাব উদ্দিন (৩০), আসিফ (২২), তাহমিদ (২৫), ভৌমিক (২৯) শাকিব (২০), আরিফুল (৪২), আব্দুল হান্নান মাসুদ (২৪) ও আফসানা জুই (২৩)।
এদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশনস সায়েন্স বিভাগের ছাত্রী আফসানা জুঁই ও ইংরেজি বিভাগের ছাত্র আব্দুল হান্নান মাসুদের গায়ে ছররা গুলি লেগেছে।