নিজস্ব প্রতিবেদক:
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে বিভিন্ন সময় আক্রান্ত হয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। গত কয়েকদিনে আন্দোলন কর্মসূচির সংবাদ সংগ্রহকালে দেশের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম সময় টিভির অন্তত ১১ কর্মীসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হন।
তথ্য বলছে গত বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) শাহবাগে কোটাবিরোধী আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহের সময় আন্দোলনকারীরা সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়।
এ সময় হামলায় সময় টিভির সহযোগী জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ত্বোহা খান তামিম ও রাশেদ বাপ্পী, সিনিয়র ভিডিও জার্নালিস্ট সামছুল আরেফিন প্রিন্স, সিনিয়র ভিডিও জার্নালিস্ট সুমন সরকার, সিনিয়র ভিডিও জার্নালিস্ট সালাউদ্দিন আল মামুন আহত হন।
এছাড়া মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) হামলায় সময় সংবাদের চিত্র সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন, সময় সংবাদের রংপুরের রিপোর্টার রেদওয়ান হিমেল ও চিত্র সাংবাদিক তারিকুল ইসলাম এবং বগুড়ার রিপোর্টার আব্দুল আউয়াল আহত হয়েছেন।
পাশাপাশি সংবাদ সংগ্রহকালে সোম ও মঙ্গলবার দুইদিনে সময় টিভি অনলাইনের দুই প্রতিবেদক মহির মারুফ এবং আবু সাঈদ নিশানও হামলার শিকার হন।
এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে কেন গণমাধ্যমকর্মীরা হামলার শিকার হচ্ছেন। এর জবাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ হাসনাত বলেছিলেন, ‘আন্দোলনকারীদের সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে অছাত্র-কুছাত্ররা এমন হামলা করছেন।’
এছাড়া শুক্রবার (১২ জুলাই) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতেও হামলার ঘটনায় নিন্দার কথা জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। এতে উল্লেখ করা হয়, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় কিছু অতিউৎসাহী ব্যক্তিরা সময় টিভির সাংবাদিকদের ওপর হামলা করে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সবসময় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। আমাদের প্রতি গণমাধ্যমকর্মীদের আচরণও একইরকম। এই পারস্পরিক সুসম্পর্ককে নষ্ট করার চেষ্টা কিছু অতিউৎসাহী অছাত্র-কুছাত্রদের দ্বারা হয়েছে। যা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কখনোই সমর্থন করে না।’
এদিকে আন্দোলন ঘিরে ছাত্রদল ও শিবিরের কর্মীরা তৎপরতা চালাচেছ বলেও অভিযোগ করেছে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ।
তাদের অভিযোগ আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ছাত্রদল ও শিবির কাজ করছে। সোমবার (১৫ জুলাই) ঢাবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, দাবি করে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ ঘটনায় ছাত্রদলকে অভিযুক্ত করা হয়।