চাঁপাইনবাবগঞ্জ সংবাদদাতা :
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সালাম ও স্কুল শিক্ষক মতিন আলী হত্যাকাণ্ডে দায়ের হওয়া মামলায় আরও চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র।
সোমবার চট্টগ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে শিবগঞ্জের রানিহাটি কলেজের সামনে জোড়া খুনের ঘটনায় মোট ১১জনকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের ঢোড়বোনা গ্রামের মো. জেন্টু আলীর ছেলে মো. আজম আলী (৩৯), মো. ময়েজ আলীর ছেলে মো. সাহেব আলী (২২), একই উপজেলার রসিকনগরের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে মো. ফিরোজ (২৮) এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার রানীহাটি ইউনিয়নের বোলতলা চকবহরম এলাকার মো. যুবায়ের রহমানের ছেলে মো. তাজ হাসান হৃদয় (২১)।
তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার ৩৩টি ককটেল, সাতটি চাইনিজ কুড়াল, চারটি রামদা ও দুইটি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি গ্রেপ্তারদের নাম পরিচয় প্রকাশ করেননি।
পুলিশ সুপার জানান, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামিদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে চট্টগ্রামে অভিযান চালায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। সেখান থেকে এজাহারভুক্ত চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া চারজনই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত বলেও দাবি করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারদের এক আসামি আজমের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সোমবার রাতে এবং মঙ্গলবার সকালে শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের ঢোরবোনা এলাকায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে ৩৩টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ককটেলগুলোর বিস্ফোরণ ঘটায় রাজশাহী থেকে আসা পুলিশের বোম ডিসপোজাল ইউনিট। পরে সাতটি চাইনিজ কুড়াল, চারটি রামদা ও দুইটি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়েছে।
গেলো ২৭ জুন জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার রাণীহাটি এলাকায় হত্যা করা হয় নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুস সালাম এবং তার সহযোগী শিক্ষক মতিন আলীকে।
জোড়া খুনের ঘটনায় আব্দুস সালামের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম বাদী হয়ে ৫২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।