ধর্মচিন্তা ডেস্ক :
পবিত্র কাবা পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ঘর। পবিত্র কাবাঘর দৃষ্টিনন্দন কালো গিলাফে আবৃত থাকে। প্রতি বছর এ ঘরের গিলাফ পরিবর্তন করা হয়। আগে হজের দিন (৯ জিলহজ) গিলাফ পরিবর্তন করা হতো। কয়েক বছর ধরে এ রীতিতে পরিবর্তন এসেছে। হারামাইন পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হিজরি বর্ষের শুরুতে গিলাফ পরিবর্তনের নিয়ম করা হয়।
তাই এ বছরও হিজরি নববর্ষের প্রথম রাতে পবিত্র কাবাঘরে নতুন গিলাফ পরানো হয়েছে। দক্ষ কারিগরদের একটি বিশেষ দল কাবাঘরে নতুন গিলাফ প্রতিস্থাপন করেছেন। এবারই প্রথমবারের মতো গিলাফ পরিবর্তনের কাজে কয়েকজন নারীকর্মী অংশ নিয়েছেন।
শনিবার (৬ জুলাই) এশার নামাজের পর গিলাফ পরিবর্তনের কার্যক্রম শুরু হয়। বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত প্রকৌশলী এবং প্রযুক্তিবিদদের তত্ত্বাবধানে ১৫৯ জন দক্ষ কারিগরের সমন্বয়ে গঠিত বাদশাহ আবদুল আজিজ কমপ্লেক্সের একটি দল গিলাফ পরিবর্তনের কাজ করেছেন। পুরনো গিলাফ সরিয়ে নতুন গিলাফ কাবার ওপর পুরোপুরি প্রতিস্থাপন করতে প্রায় চার ঘণ্টা সময় লেগেছে।
পবিত্র কাবার গিলাফ তৈরিতে মোট ১২০ কেজি স্বর্ণ, ১০০ কেজি রুপা এবং ১ হাজার কেজি প্রাকৃতিক সিল্ক ব্যবহার করা হয়। গিলাফটির ওজন ১ হাজার ৩৫০ কেজি, উচ্চতা ১৪ মিটার । গিলাফের চারটি পৃথক দিক এবং দরজার জন্য আলাদা একটি পর্দা রয়েছে। যেখানে বাইরে থেকে কালো কাপড়ের ওপর স্বর্ণের সুতা দিয়ে বোনা কোরআনের আয়াত ও অন্যান্য নকশা শোভা পায়। গিলাফের সব কাজ শেষ করতে ছয় থেকে আট মাস সময় লাগে।
সূত্র : খালিজ টাইমস