সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন [gtranslate]
শিরোনাম
বাগেরহাটে বিজয় দিবসে উপলক্ষ্যে যুব একতা সংস্থার র‍্যালি ও পথসভা সাগরে মাছ সংকটে বিপাকে দুবলারচরের শুঁটকি জেলেরা, জেলে মহাজনরা আর্থিক ক্ষতির সম্মূখীন ১৪৪ ধারায় বাগেরহাটের কচুয়ায় সমাবেশ করল বিএনপি, সাবেক এমপির অনুষ্ঠান স্থগিত বাগেরহাটে মাদকবিরোধী অভিযানে মাদক সম্রাজ্ঞী ও সহযোগী গ্রেফতার শরণখোলায় জামায়াতে ইসলামীর বিজয় দিবসের বর্ণাঢ্য র‍্যালি শরণখোলায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাগেরহাটে নানা আয়োজনে বিজয় দিবস উদযাপন বাগেরহাটে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত শরণখোলায় বীরমুক্তিযোদ্ধা আঃ গফফার মোল্লাকে রাষ্টীয় মর্যাদায় দাফন শরণখোলায় জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে রায়েন্দা ইউনিয়ন চ্যাম্পিয়ন
বিজ্ঞপ্তি
খুলনা বিভাগের বাগেরহাট থেকে প্রকাশিত প্রথম ভিডিও নিউজ পোর্টাল “বাগেরহাট পোস্ট” Bagerhat Post ...   ***    (পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চলছে) ।  **  বাগেরহাট পোস্ট এ দেশের প্রতিটি জেলা , উপজেলা সহ জনগুরুত্বপূর্ন স্থানে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আগ্রহী প্রার্থিরা শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ (নুন্যতম এইচএসসি পাশ), অভিজ্ঞতার সনদ,  জাতিয় পরিচয় পত্রের কপি, সদ্য তোলা পাসপোর্ট  সাইজের ছবি ও জীবনবৃত্তান্ত সহ বার্তা সম্পাদক বরাবর অনলাইনে আবেদন করুন। আবেদন পাঠাবার ঠিকানা  E-mail : bagerhatpost@gmail.com   প্রয়োজনে : ০১৩১২৩৫২৫৩৮ (whatsap) বার্তা বিভাগ।
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ড. ইউনূস
/ ১৬৯ টাইম ভিউ
আপডেট সময় : সোমবার, ৮ জুলাই, ২০২৪, ৬:১১ অপরাহ্ন

আদালত প্রতিবেদক :

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশের টাকা আত্মসাতের মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে এবার আবেদন করেছেন নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (৮ জুলাই) ইউনূসের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল মামুন সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন দায়ের করেন।মামুন বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৬১-এ ধারায় করা আবেদনে অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের বেঞ্চে আবেদনটির ওপর শুনানি করবেন বলে জানান তিনি।এর আগে গত ২৬ জুন একই মামলায় অপর দুই অভিযুক্ত অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ ও অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী একই ধরনের একটি আবেদন করেন। তবে অবকাশকালীন বেঞ্চে ওই আবেদন শুনানি হয়নি, পরে নিয়মিত বেঞ্চে শুনানি করার কথা বলা হয়।

 গত ১২ জুন মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ সৈয়দ আরাফাত হোসেন। আগামী ১৫ জুলাই এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ঠিক করা হয়েছে।

দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান ২০২৩ সালের ৩০ মে এ মামলা দায়ের করেন। তার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিরা গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা ‘আত্মসাৎ’ করেছেন। সেই অর্থ ‘অবৈধভাবে স্থানান্তর’ করা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ড. ইউনূস ও নাজমুল ইসলামসহ গ্রামীণ টেলিকম বোর্ড সদস্যদের উপস্থিতিতে ২০২২ সালের ৯ মে অনুষ্ঠিত ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় হিসাব খোলা হয়। তবে ব্যাংকে হিসাব খোলা হয় এক দিন আগেই।

গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরণের জন্য গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এবং গ্রামীণ টেলিকমের সঙ্গে সেটেলমেন্ট চুক্তি হয় ওই বছরের ২৭ এপ্রিল।

এজাহারে বলা হয়, সেটেলমেন্ট চুক্তিতেও ৮ মে ব্যাংক হিসাব দেখানো আছে, যা বাস্তবে অসম্ভব। ‘ভুয়া’ সেটেলমেন্ট চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ও ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক গ্রামীণ টেলিকমের ৪৩৭ কোটি ১ লাখ ১২ হাজার ৬২১ টাকা ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মিরপুর শাখা থেকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় স্থানান্তর করা হয় ২০২২ সালের ১০ মে।

পরে ২২ জুন অনুষ্ঠিত ১০৯তম বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অ্যাডভোকেট ফি হিসাবে অতিরিক্ত ১ কোটি ৬৩ লাখ ৯১ হাজার ৩৮৯ টাকা প্রদানের বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়।

অন্যদিকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাব থেকে গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন নামীয় ডাচ বাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিসের হিসাব থেকে তিন দফায় মোট ২৬ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা স্থানান্তর করা হয়।

কিন্তু কর্মচারীদের লভ্যাংশ বিতরণের পূর্বেই তাদের প্রাপ্য অর্থ তাদের না জানিয়েই ‘অসৎ উদ্দেশ্যে’ ২০২২ সালের মে ও জুন মাসের বিভিন্ন সময়ে সিবিএ নেতা মো. কামরুজ্জামান, মাইনুল ইসলাম ও ফিরোজ মাহমুদ হাসানের ডাচ বাংলা ব্যাংকের মিরপুর শাখার হিসাবে ৩ কোটি টাকা করে স্থানান্তর করা হয়।

একইভাবে আইনজীবী মো. ইউসুফ আলীর কমার্শিয়াল ব্যাংক অফ সিলনের ধানমন্ডি শাখার হিসাবে ৪ কোটি টাকা ও দি সিটি ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাবে ৫ কোটি টাকা এবং আইনজীবী জাফরুল হাসান শরীফ ও আইনজীবী মো. ইউসুফ আলীর স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের গুলশান নর্থ শাখায় যৌথ হিসাবে ৬ কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়, যা তাদের প্রাপ্য ছিল না।

দুদকের রেকর্ডপত্র অনুযায়ী, অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে প্রকৃতপক্ষে হস্তান্তরিত হয়েছে মাত্র ১ কোটি টাকা। বাকি ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বোর্ড সদস্যদের সহায়তায় গ্রামীণ টেলিকমের সিবিএ নেতা এবং আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সেটেলমেন্ট চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে ‘অসৎ উদ্দেশ্যে জালিয়াতির আশ্রয়ে গ্রামীণ টেলিকম থেকে উক্ত অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
ফেজবুকে আমরা

Recent Comments

No comments to show.